ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (ক্রাইম) একরামুল হক ও অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী, সিআইডি, ডিবিসহ জেলা পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শুক্রবার বিকালে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, “কী কী চুরি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য জব্দ তালিকার সঙ্গে মালখানায় থাকা অবশিষ্ট মালামাল যাচাই বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুরি হওয়া মালামালের সঠিক হিসাব বলা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় এ চুরির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে শুক্রবার বিকালে জানিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের চারজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
তবে নাটোরের কোর্ট পরিদর্শক মোস্তফা কামাল বলেন, “৩৭ লাখ টাকা, ১৬ ভরি সোনা, ২৬ কেজি রুপাসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।”
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধারণা করা হচ্ছে সংঘবদ্ধ চোররা প্রথমে নাটোর আদালতের ডকুমেন্ট কক্ষ এবং কোর্ট পুলিশের কক্ষের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা তালা ভেঙে নাটোর সদর সার্কেলের মালখানায় প্রবেশ করে।
শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় বেলা ১১টার দিকে আদালতে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা জানালার গ্রিল কাটা দেখতে পান। পরে তারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান।
এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করলেও তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় আপাতত প্রকাশ করতে রাজি হননি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক সকাল প্রতিদিন
কারিগরী সহায়তায় তাইপুর রহমান তপু।