প্রকাশের সময় 30/08/2024
ইসলাম চারিদিকে আঁধারে ঘনঘটা নিরব নিঃশব্দে ভয়াবহ এক বদ্ধঘরে আটকে রাখা। আসমান দেখার সুযোগ নেই, সুযোগ নেই বাইরের গাছপালা থেকে অক্সিজেন গ্রহন করার।
এ যেনো এক জিন্দা লাশের ন্যায় নিথরভাবে পরে থাকা জীব। সময়ের সূর্য কখন উদয় হয়, আর কখনই বা অস্ত যায় দেখতে পারে না জানতেও পারে না। যখন খাওয়ার সময় হয়,তখন এক আগন্তুক এসে সামান্য অরুচিকর খাবার দিয়ে যায়। যা খেয়ে পেটও ভরে না মনও ভরে না।
তবুও বিনা প্রশ্নে বিনা বাক্যে তা খেতে হয়, জীবনকে নড়াচড়া রাখতে। আগন্তুকের রুঢ় কণ্ঠের আচরণ আর গভীর অন্ধকার অবস্থা দেখে জাহান্নামের আঁচ করা যায়, জাহান্নাম যেমন বিশ্রী ও ভয়াবহ তাঁর রক্ষী বা ফিরিস্তারাও তেমনই ভয়ানক কর্কশ ও রুঢ় স্বভাবের। কখনো মনে পরে/ সেই ছেড়ে আসা পরিবার,বন্ধু, সন্তান সন্ততি সহ প্রিয়তমা স্রীর কথাও।
এ যেনো এক বুক চিরা হাহাকার! দূরত্বের যন্ত্রণায় ছটফট করা কলিজা ফাঁটা আর্তনাদ। বিশেষ অঙ্গটিও সম্ভোগের তামান্নায় চেতনায় উত্তেজিত হয়ে মিলনের আকুতি জানান দিলেও বিরহ বিরম্ভনায় নিজেকে ধরে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে উঠে। রুহ জাগ্রত আছে মনে হলেও দেহ-মনের গতি নিস্তেজ হয়ে রয়।
ভাষাহীন জবানে নিজের সাথে কথা বলে সময় কাটে। বাইরের জগতের একটু বাতাস,আকাশ, ফুল-ফল গাছ পাখি, পরিবেশ দেখার জন্য মনটা হুহু হয়ে উঠে। কিন্তু এ ঘর এমন ঘর বাইরের জগত থেকে সম্পূর্ণভাবে ভিন্নমূখী আড়াল করে রাখছে।
এ যেনো জিন্দা হয়েও মৃত্যুর শিকলে আবদ্ধ এক ভিন্ন জগতে বসবাস। যা মায়ের পেট থেকেও অনেক ছোট ঘর, যার নাম দিয়েছে -পাষণ্ড জালেম শৈরাচারী শাসক গোষ্ঠী “আয়নাঘর”-নামে।
নরককীট নিষ্ঠুরতম মানসিকতা থাকলেই এমন বিভীষিকাময় ভয়ানক ঘরে সত্য ও মানবতাকে কষ্ট দেয়। পাপাচার নিকৃষ্টতর মনুষ্যত্বহীন শাসকের গড়া- এ হলো প্রাথমিক “আয়নাঘরের” বিবরণ।