অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জনগণের সামনে কী রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন, তার অপেক্ষায় রয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে দলটি মনে করে, দেশের জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই দেশে সংস্কার আনা সম্ভব।
শনিবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌক্তিক সময়ের মধ্যে একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন বলে প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘অতিদ্রুত জনগণের চাহিদা পূরণ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আলোচনা করতে হবে। কীভাবে একটি নির্বাচন অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে করা যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। আজকে আমাদের সামনে নতুন এক ভবিষ্যৎ এসেছে। সব জঞ্জাল উপড়ে ফেলে দেশকে সুন্দর করে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে।’
শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা রয়ে গেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যেসব ব্যক্তি হাসিনার পাশে থেকে তার দোসর হয়ে ছিল, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের আশেপাশে তাদের দেখতে চাই না। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদেরকে দেখে আমরা উদ্বিগ্ন চিন্তিত হই।’
‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সত্যিকার অর্থে এ সরকারের কোনও এজেন্ডা ভিত্তিক আলোচনা হয়নি’, বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত এ সরকারকে জানতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অবশ্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মতবিনিময় করতে হবে। প্রতিবিপ্লব যাতে না ঘটে, আমাদেরকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বন্যায় এরইমধ্যে কয়েকজন মারা গেছেন হয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। মানুষের ঘর-বাড়ি ভেসে গেছে। আমরা তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি এবং পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ প্রমুখ।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক সকাল প্রতিদিন
কারিগরী সহায়তায় তাইপুর রহমান তপু।