নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির পরেই দীর্ঘ দুই যুগ পর নিজ এলাকা দেওভোগে যান জাকির খান।
রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
এর আগে এদিন সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের মূল ফটকের সামনে জাকির খানের মুক্তির অপেক্ষা করতে থাকেন তার স্বজন ও সমর্থকরা। পরে বেলা ১১টার দিকে কারগার থেকে বের হয়ে এলে স্বজন ও সমর্থকরা জেলগেট থেকে ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করে নেন।
এ সময় কারামুক্ত জাকির খান বিএনপি ও ফিলিস্তিনের পতাকা নেড়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর চাষাঢ়া হয়ে বি বি রোড দিয়ে নিজ এলাকা দেওভোগে পৌঁছান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ জাকির খানের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ কর্মকর্তা আরো বলেন, একটি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার মেয়াদ শেষ হলে জাকির খানকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এদিকে জাকির খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম জানান, জাকির খানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ৩২ মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন এবং একটি মামলায় তিনি জামিনে আছেন। এই আইনজীবী আরো বলেন, অনেক আগে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আজ তিনি সাজা শেষ করে মুক্তি পেয়েছেন।
উল্লেখ্য চারটি হত্যা মামলাসহ মোট ৩৩টি মামলার আসামি ছিলেন জাকির খান। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ এর একটি অভিযানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানিয়েছিল, ২০০৩ সালে সাব্বির হত্যা মামলার পর জাকির খান দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যান।
এরপর প্রায় দুই দশক দেশে না থেকে ২০২১ সালে ভারত হয়ে ফের দেশে আসেন। র্যাব জানিয়েছিল, নব্বইয়ের দশকে জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন থেকে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন জাকির। পরে তিনি বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক সকাল প্রতিদিন
কারিগরী সহায়তায় তাইপুর রহমান তপু।