ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বনানী থানাধীন ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাসিরের অনুসারী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের আস্থাভাজন সক্রিয় নেতারা ১৭ বছর সুবিধাগ্রহণ কারীরা বনে যাচ্ছেন এবং গেছেন বিএনপি যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী। একদিকে দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় জোর দিচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতারা। বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীরা যাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়েন সেজন্য মাঠে নেমেছে দলটির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। আবার অনেক শীর্ষ নেতারাই বলছেন, বিগত দিনে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করতে যেয়ে বিভিন্নভাবে মামলা-হামলা, কারাভোগ ও জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের সামনের কাতারে স্থান দিতে হবে। দলের ত্যাগী নেতাদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, পুরোদস্তুর যারা আওয়ামী লীগের আমলে বনানী থানাধীন সাততলা বস্তিতে সকল প্রকার সুবিধা গ্রহণ সহ প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে জানান দিয়েছেন নিজের ক্ষমতার, যে সকল সুবিধাভোগীরাই বনানী থানা আওতাধীন স্বেচ্ছাসেবক দল যুবদলের বর্তমানে মিছিল মিটিংয়ে কর্মীদের যোগান দিয়ে নেতাদের সুনজরে এসে করে যাচ্ছেন অপকর্মসহ নানান অপরাধমূলক কর্মকান্ড। দেশের সংকটময়কালে আন্দোলন সংগ্রামে না থাকলেও এখন কিছু নব্য বিএনপি নেতার তোড়জোড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সে সকল নেতারাই গুলশান বনানীর সকলের পরিচিত মুখ ত্যাগী কর্মী কারা নির্যাতিত আব্দুল আজিজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় আজিজের বাড়িতে তালা মেরে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কিশোর গ্যাং এবং বিগত দিনে সাততলা বস্তিতে আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী নব্য বিএনপি কর্মীরা, তারা সকলেই বর্তমানে বনানী থানাধীন বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন ও তার ছোট ভাই যুবদল নেতা মনির স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা চান মিয়ার অনুসারী বলে অভিযোগ করে এলাকাবাসী, তারা হলেন হানিফ, নাজমুল পিতা অটো বাচ্চু, ইয়াবা ব্যবসায়ী আকাশ, মনোয়ারার ছেলে রানা, হাতেম ফকিরের পোলা বাবর আলী, জসিম ওরফে শটগান জসিম, অটো আনোয়ার, বডু জাকিরসহ আরো অনেকে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাদক ব্যবসায়ী আকাশকে ব্যবসা পরিচালনা না করতে বলার কারনে বনানী থানা যুবদল নেতা মনিরের ডান হাত খ্যাত আটো বাচ্চুর ছেলে নাজমুলের ইশারায় যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলে যোগ দেওয়া আওয়ামী লীগ থেকে আসা নব্য বিএনপি সন্ত্রাসীরা ২০-৩০ জনের মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আব্দুর রহিম নামে এক বিএনপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর করে এবং এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে রাস্তায় ফেলে চলে যায় এবং কিছুদিন আগেই উক্ত বস্তিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ নেত্রী শান্তার বাসায় হামলা চালিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের মাধ্যমে বস্তিতে থাকার অনুমতি দেয় এবং আওয়ামী লীগের কড়াইল বস্তির এক নেতাকে আটক করে টাকা আদায় করতে না পারায় গুম করার অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে তাদের বিরুদ্ধে যার বিষয়ে বনানী থানার ওসিসহ বনানী থানা বিএনপির অনেক নেতারা অবগত আছে আর অভিযোগ আছে গত সেপ্টেম্বর ঘোড়ার ঘরে অবস্থিত রিক্সার গ্যারেজ দখলকে কেন্দ্র করে মঞ্জু নামে একজনকে কুপিয়ে মারাত্মক অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহত মঞ্জুর স্ত্রী নাজমুলসহ ঘটনায় জড়িতদের নাম উল্লেখ করে বনানী থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন, কিন্তু অভিযুক্ত নাজমুল অদৃশ্য শক্তির ক্ষমতায় এখন পর্যন্ত ধরাছোয়ার বাইরে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সাততলার একাধিক বাসিন্দা জানান, এদের মধ্যে অধিকাংশ সন্ত্রাসীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের হয়ে বনানী এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনে আগুন অভিযোগ করে বলেন, এ সকল দুষ্কৃতিকারীরাই আজ খোলস পাল্টে বিএনপি'র একনিষ্ঠ কর্মী পরিচয় দিয়ে বেড়ান যা কিনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে করে বনানী থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ওপরে আস্থা হারাচ্ছেন সাধারণ জনগণ। অতিদ্রুত বিএনপি'র শীর্ষ নেতারা উক্ত সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে বলে আশা ব্যক্ত করে সাততলার বাসিন্দারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থেকে বিগত ১৭ বছর সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন এ সকল কিশোর গ্যাং নেতারা। দিন বদলের মাত্র দু মাসেই এ পরিবর্তন, এটা খুবই লজ্জার এবং কষ্টের। এ বিষয়ে সাততলা বস্তির কারা নির্যাতিত বিএনপি'র এক নেতা বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় আসে নাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে এর মধ্যে কিছু দুর্বৃত্ত বিএনপি নামধারী নেতাকর্মীরা দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে, আমাদের শীর্ষ নেতাদের আদেশ যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তাহলে তাকে জনতার মাধ্যমে আইনের কাছে সোপর্দ করা হোক এভাবে মারধর করা আটক রাখা গুম করা আমাদের কাম্য নয়। বড় কথা হলো প্রশাসন আগের অবস্থানে নাই বিধায় এ সকল দুর্বৃত্তরা বিএনপি'র নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে নির্দ্বিধায়। তৎকালীন গুলশান থানার একজন সাবেক যুবদল নেতা বলেন, দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের ছাত্র-জনতা মারা গেছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন, তাদের হত্যা করা হয়েছে। সেইসব হত্যা এবং হামলায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জরিতদের সঙ্গে বিএনপি নামধারী আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা অপতৎপরতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। আমরা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র পক্ষ হতে এ সকল কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এ কাজগুলোর সমর্থন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে ব্যবস্থা নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক সকাল প্রতিদিন
কারিগরী সহায়তায় তাইপুর রহমান তপু।