বিশেষ প্রতিনিধিঃ তালহা চৌধুরী রুদ্র।। ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সোহেল রানা পাপ্পু এখন কোথায়? তার সন্ধান চান গৌরীপুরবাসী। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিশাল অভিযোগ, গৌরীপুরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এই সোহেল রানা পাপ্পুর বিরুদ্ধে । অভিযোগে প্রকাশ, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের পুরোটা সময় সরকারি কর্মকর্তা সোহেল রানা পাপ্পু কথিত ডাকাতের মতো দুই হাতে টাকা কামিয়েছেন আর পকেটে ভরেছেন। কিভাবে একজন সরকারী দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের চাটুকার হয়ে মহা দূর্ণীতি বাজে পরিণত হয়ে গেলো সেটাই এখন দেখার বিষয়। পিআইও সোহেল রানা পাপ্পু ইচ্ছে হলে খাতা-কলম নিয়ে কয়েকটা প্রকল্প বানিয়ে ফেলতেন আর সেখানে সাদাসিধে কিছু মানুষের সই-স্বাক্ষর নিয়ে মহা আনন্দে দিন সাতেকের মধ্যেই কয়েকটি নামে-বেনামে প্রকল্প তৈরি করতেন। অথচ মানুষরা জানতেও পারলেন না এটা একটা ভূ্ঁয়া প্রকল্প, যে গুলোর বাস্তবায়ন কোন দিনই হবেনা । সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ভাবে ভূঁয়া প্রকল্প বানিয়ে বানিয়ে সেগুলোর বাস্তবায়ন দেখিয়ে সরকারের মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে লক্ষ-কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছেন সোহেল রানা পাপ্পু। অথচ তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতার নেশায় এমনই বুঁদ হয়েছিলো জবাবদিহি তো দুরের কথা কোনদিন জানতেও চাইনি বাস্তবায়নের কথা। অন্যদিকে হতদরিদ্রদের জন্য যে সমস্ত টি আর. কাবিখা. কাবিটা. কর্মসৃজন প্রকল্প, ইত্যাদি সরকারের প্রকল্প আদৌ বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা এটা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্হানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী। পরবর্তীতে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, এইসব হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীদের দিয়ে কোন কাজও হয়নি যার নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গেছে পতিত আওয়ামীলীগের কর্মি-নেতারা। দুঃখজনক হলেও সত্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা পাপ্পুর দূর্ণীতি আর অর্থলুটের আরও ছিলো লুটপাটের ব্যাংক। যেমনঃ প্রায় ১০ টা ইউনিয়নের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ. তৎকালীন সংসদ সদস্যের প্রকল্পের কাজ. আওয়ামীলীগের ইউ পি চেয়ারম্যানের প্রকল্পের কাজ ইত্যাদি হরেক রকমের কাজ। তবে গৌরীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা পাপ্পু আসলে বুদ্ধিমান দূর্ণতিবাজ চাটুকার ব্যক্তি ছিলেন। সে উপজেলা আর ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগ দিয়ে একটা সিন্ডিকেট বানিয়ে একটা বড় ধরনের কমিশন ধান্ধা করে নিতেন। যেখানে ছিলো শুধু টাকা আর টাকা। এই ভাবে সরকারের অর্থ লুটেরা জনগনের টাকা আত্নসাৎকারী পাপ্পু এখন শত শত কোটি টাকার মালিক। স্হানীয় বাসীদের অভিযোগ, এখন ময়মনসিংহ দূর্ণীতি দমন কমিশন (দূদকের) কর্মকর্তা আর সদস্যদের প্রতি– তারা তো দেশ প্রেমিক হিসেবে সুনাম খ্যাত। তারা কি গৌরীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা পাপ্পুর সরকারের সাথে বাটপারি আর প্রায় অর্ধশত দূর্ণীতির বিরুদ্ধে একটি মামলাও করতে পারলেন না? স্হানীয় বাসীরা ক্ষোভের সাথে বলেন অন্ততঃ একটা আবেদনও তারা করতে পারতেন। সর্বশেষ জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও লুটেরা ও দূর্ণীতিবাজ সোহেল রানা পাপ্পুর নাকি এখন কোন খোঁজ মিলছেনা। তিনি নাকি লা-পাত্তা হয়ে গেছেন। গৌরীপুর বাসী সোহেল রানা পাপ্পুর খোঁজ করার দায়িত্ব এখন ময়মনসিংহ দূর্ণীতি দমন কমিশন (দূদকের) কাছে দিতে চান এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ একটা কঠিন ফাইল প্রেরণের দাবী জানাচ্ছেন কারণ বাংলাদেশ সরকারের সাথে আর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাথে, যে ব্যক্তি এমন জঘন্য খেলা খেলেছেন তাকে কি এমনি এমনি ছেড়ে দেয়া যায়? প্রশ্ন জনমনে! তবে স্হানীয় সচেতন মহল মনে করেন বিষয় টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।