প্রকাশের সময় 14/04/2025
গাইবান্ধা সদরের বোয়ালী ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকার সাদেকুল ইসলাম কনক নামে এক যুবক(২৫) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার অন্তসত্তা স্ত্রী ও পরিবারের।
আজ ১৩ এপ্রিল রবিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিথ্যা ধর্ষন মামলায় অভিযুক্ত কনকের স্ত্রী অন্তসত্তা ফাতেমা বেগম(২২)। তিনি বলেন, হাঁসগাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে রুম্পা আক্তার তাদের অজান্তে তার স্বামী কনকের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
পরে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য গত ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে কৌশলে রুম্পা আক্তার কনক কে পৌর পার্ক থেকে পুলবন্দী বাজারে ডেকে নিয়ে যায়।পরে রুম্পা তার,মা মিরা বেগম, মামা পাপুল মিয়া,খালা ও মামি আফরোজা বেগম ও শিউলী বেগম সহ কয়েকজন কনক কে ইজিবাইকে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হয়।
বালাসিঘাট নামক স্থানে গেলে সে বুঝতে পেরে ইজিবাইক থেকে লাফ দেয় এবং পায়ে গুরুতর জখম হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যায় এবং স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠায়। তার পায়ে প্রায় ৯ টি সেলাই রয়েছে।
শেষে প্রতিপক্ষগন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কনকের নামে ফুলছড়ি থানায় মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করে। ফাতেমা বেগম আরো অভিযোগ করেন , তিনি একজন ৪ মাসের অন্তসত্তা। তার স্বামী কনক কে মোটা অংকের টাকার জন্য মিথ্যা ধর্ষন মামলা দিয়ে ফাসানো হয়েছে। রুম্পা একজন দু-চরিত্র প্রকৃতির মেয়ে।
একাধিক ছেলের সাথে তার সম্পর্ক। সে ছেলেদের সাথে সম্পর্ক করে ব্লাক মেইল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি ঘটনাটির সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান পুলিশ প্রশাসনের নিকট।