প্রকাশের সময় 28/01/2025
মোয়াজ্জেম হোসেন হিলারী, নিজস্ব প্রতিনিধি।।
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় মেরুরচর ইউনিয়নে ফকিরপাড়া গ্রামে সরকারি নীতিমালা লংঘন করে দুটি বিদ্যালয় স্থাপনের চেষ্টা চলছে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত ফরাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম বিগত ২৩/১২/২০২৪ তারিখে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দূরত্ব সনদ, চতুর্দিকে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনাপত্তিপত্র জাল করে উত্তর ফকিরপাড়া পূর্ব কলকিহারা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চর পশ্চিম ফকিরপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে দুটি বিদ্যালয় স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান।
তাছাড়া জমির দলিল, খাজনা রশিদ, মিউটেশন সহ সমস্ত ডকুমেন্ট জাল ও ভুয়া তৈরি করে শিক্ষা বোর্ডের জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, মেরুরচর ইউনিয়নে ফকিরপাড়ার একটি গ্রাম। অত্র গ্রামে ফারাজিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও ফকিরপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রহিয়াছে। এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষাদান দিয়ে আসছে কিন্তু উক্ত গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে সরকারি নীতিমালা বহির্ভূতভাবে আরো দুটি বিদ্যালয় স্থাপনের চেষ্টা চলছে। সেজন্য ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল বিগত ইং ১০/০৭/২০২৪ তারিখে ও বিগত ইং ২৭/০৭/২০২৪ তারিখে উত্তর ফকিরপাড়া পূর্ব কলকীহারা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চর ফকিরপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে স্থানীয় সাংবাদিক পার্শ্ববর্তী চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অবস্থিত ছিলেন এবং পরিদর্শন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চারটি বিদ্যালয়ের দূরত্ব নিয়ে কথা হয়। এখানে দেখা যায় সম্ভাব্য বিদ্যালয় দুটির উত্তরে ০১ কিমি দূরত্বে মেরুরচর হাছান আলী উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিনে ৩০০ থেকে ৩৫০ গজ দূরত্বে ফকিরপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্বে ৪০০ গজ দূরত্বে ফারাজিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং পশ্চিমে ০১ কিমি দূরত্বে তিলকপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রহিয়াছে। এর মধ্যবর্তী স্থানে আরো দুটি বিদ্যালয় স্থাপন সরকারি বিধি বহির্ভূত হবে বলে অনেকেই উল্লেখ করেন। তাছাড়া অভিভাবক সমাজের অনেকেই বলেন এই গ্রামের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম আশেপাশে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও যদি মধ্যবর্তী স্থানে আরো দুটি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয় তাহলে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।
ফকিরপাড়া গ্রামে রাজ্জাক মিয়া নামের এক অভিভাবক জানান অত্র এলাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকায় নতুন করে আরো দুটি বিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা নেই।
স্কুল স্থাপন প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার শ্যামল কুমার রায় বলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেটার অনুমোদন দেবে যাচাই-বাছাই করেই দেবে এটাতে আমাদের করার কিছু নাই।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন আমি নতুন যোগদান করেছি অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ময়মনসিংহ এর পরিদর্শক আব্দুল হক জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দূরত্ব সনদ না পাওয়ায় স্কুল স্থাপনের অনুমতি পাবে না, প্রতিবেদনে উল্লেখ করে আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।