জামালপুর প্রতিনিধি ॥ জামারপুরের বকশীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হক কর্তৃক দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গণ হয়রানি বন্ধের দাবিতে গণবিক্ষোভ এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেতৃত্ব দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সরকার রাসেল। জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌরসভার চরকাউরিয়া সীমারপাড় গ্রামের রজব আলী নামে একজন রোগি মারা যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত রজব আলীর লোকজন দ্বারা কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসমা লাবনী লাঞ্চিত হন। পরে ২৯ অক্টোবর ৮ জনকে নামীয় এবং ৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হক। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করার জন্য একই মামলায় রফিকুল, নয়ন ও মারুফ নামে তিনজন সাংবাদিককেও আসামী করা হয়। নামীয় আসামীদের মধ্যে পুলিশ ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর থেকেই পুলিশি অভিযান চলমান আছে চরকাউরিয়া সীমারপাড় গ্রামে। পুলিশের ভয়ে গ্রাম হয়েছে পুরুষ শূন্য। অনেক মহিলাও পলাতক রয়েছেন। গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি তালাবদ্ধ। এ অবস্থায় হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গণ হয়রানি বন্ধের দাবিতে ৪ নভেম্বর সোমবার দুপুরে এলাকার জনসাধারণ গণমিছিণ ও গণসমাবেশ করেছে। গণ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সরকার রাসেল। এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, মামলার ৮ জন আসামীর মধ্যে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন জামিনে আছেন। অন্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান চলমান। তবে কোন নিদোর্ষ মানুষ হয়রানির শিকার হবেনা। পুলিশ এ বিষয়ে যথেষ্ট সর্তক আছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক সকাল প্রতিদিন
কারিগরী সহায়তায় তাইপুর রহমান তপু।