জামালপুরের বকশীগঞ্জে শাহরিয়ার আহমেদ সুমন নামে একজন সমন্বয়ক জামালপুর জেলা গণঅধিকারের সহ-সভাপতি কর্তৃক বিয়ে বাড়ীতে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন সোসাল মিডিয়া ও বেশ কয়েকটি অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ঘটনাটি ভাইরাল হয়। বিভিন্ন সোসাল মিডিয়া ও বেশ কয়েকটি অনলাইন মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ১৮ অক্টোবর বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মেরুরচর খা পাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের কন্যার বিয়ের আয়োজন করে। বিয়ে বাড়ীতে উপস্থিত হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বকশীগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়ক ও জামালপুর জেলা গণঅধিকারের সহ-সভাপতি একই গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে শাহরিয়ার আহমেদ সুমন কনের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দরীদ্র কনের পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করায় শাহরিয়ার সুমন বিয়ে পন্ড করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে কনের পরিবার বাধ্য হয়ে শাহরিয়ার সুমনকে নগদ ছয় হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু শাহরিয়ার আহমেদ সুমন আরও টাকা দাবি করায় কনের পরিবার পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহরিয়ার সুমন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে বেওয়ারিশ একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে মোরাদ সরকার নামে এক ব্যাক্তি তার ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন “ কথিত ভূয়া সমন্বয়ক দাবিদার ও ভূয়া সাংবাদিকের কারিগর এর মূল হোতা চাঁদাবাজ শাহরিয়ার আহমেদ সুমনের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি”,দৈনিক সকাল প্রতিদিন সংবাদ শিরোনাম করেছে “বকশীগঞ্জে সমন্বয়কের পরিচয়ে দিয়ে বিয়ে বাড়ীতে চাঁদা দাবি !!!”, একই বিষয়ে নিউজ বাংলা ২৪ শিরোনাম করেছে “বকশীগঞ্জে সমন্বয়কের পরিচয়ে দিয়ে বিয়ে বাড়ীতে চাঁদা দাবি”। একেএম নূর আলম নয়ন নামে জনৈক ব্যাক্তি তার ফেসবুক পোস্টে শেষ পর্বে দাবি করেছেন “শাহরিয়ার আহমেদ সুমনকে গ্রেফতার করতে হবে”। চাঁদা দাবির বিষয়ে নেট দুনিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে একাধিক ভিডিও ফুটেজ। উল্লেখিত বিষয়ে সমন্বয়ক ও জামালপুর জেলা গণঅধিকারের সহ-সভাপতি শাহরিয়ার আহমেদ সুমনকে আসামী করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ১৯ অক্টোবর বকশীগঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগের বাদী কনের বড় ভাই মো: জসিম মিয়া। এছাড়াও সোসাল মিডিয়ায় হাতের লেখা একটি নামের তালিকাও ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টকারীরা দাবি করছেন প্রকাশিত তালিকাটি সমন্বয়ক শাহরিয়ার আহমেদ সুমনের নিজের হাতের লেখা এবং সেটি চাঁদা আদায় বা আদায়ের সম্ভাব্য তালিকা বা মামলার আসামী করার নামে বাণিজ্য করার তালিকা। ওই তালিকায় বকশীগঞ্জ উপজেলার ৫৯ জন বড় ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। এব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাশেদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় নেতা রিপন, স¤্রাট, শাদ ও রিয়াদসহ ৫ সদস্যের একটি টিম ঘটনাস্থল গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিয়ে বাড়ীতে চাঁদা দাবির বিষয়টি ছাড়াও সুমনের অন্যান্য অনৈতিক কর্মকান্ড ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্থানীয়ভাবে বির্তকিত করে তুলছে। তাই নিজেদের লজ্জা ঢাকার প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এব্যাপারে কনের বড় ভাই জসিম মিয়া জানান, চাঁদা দাবির ঘটনাটি শতভাগ সত্য। এ কারণেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে আইনের দ্বারা বিচার প্রার্থী হয়েছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো। অভিযুক্ত সমন্বয়ক ও জামালপুর জেলা গণঅধিকারের সহ-সভাপতি শাহরিয়ার আহমেদ সুমন জানান, ঘটনাস্থলে আমাকে ব্লেক মেইল করা হয়েছে। ঘটনা ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে সমাজে হেয় করার জন্য একটি মহল ওই নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। আমি ঘটনার সাথে জড়িত না। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক সকাল প্রতিদিন
কারিগরী সহায়তায় তাইপুর রহমান তপু।