কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ নারীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই যুবদল নেতার নাম রেজাউল করিম। তিনি চিলমারী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মজিদের পাড় এলাকায়। এঘটনাকে ঘিরে সন্ধ্যায় শতাধিক নারীপুরুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওই নেতাকে ধরতে পাম্প মোড়ে জমায়াত হন।

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম মালেকা বেগম (৬৫)৷ তিনি ওই এলাকার শহীদুল ইসলামের সহধর্মিণী।

ভুক্তভোগী মালেকা বেগম বলেন, আমি আমার ছেলেকে খুঁজতে পাম্পের মোড়ে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে রেজাউল আমার পথ রোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এক পর্যায়ে সে আমাকে ধাক্কা মারলে পাশে থাকা বেঞ্চ এর উপর পরে যাই। এরপর সে আমার গালে চড়থাপ্পড় মারতে থাকে। এসময় আমার ছেলে ও ছেলের বউ এগিয়ে আসলে তাদের চর থাপ্পড় মারতে থাকে পরে স্থানীয়রা আমাকে আমার ছেলে ও ছেলের বউকে রেজাউল এর হাত থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাই, আবু বক্কর সিদ্দিক, মিলন মিয়া, সাহেদুল, শাহালমসহ অনেকেই জানান, রেজাউল করিম দলের ক্ষমতা দেখিয়ে এলাকায় অনেকের সাথেই খারাপ আচরণ করছেন। কখনো কখনো তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগও পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত যুবদল নেতা রেজাউল করিম জানান, মালেকাকে আমি মারি নি বরং তিনি আমার গায়ের উপর পড়েছিল সরিয়ে দিয়েছি। মুকুলকে থাপড় তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ওরা পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগ। আমাকে হেনস্তা করার জন্য এসব কথা বলেছে।

চিলমারী মডেল থানার ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।