সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ
#শ্রীবরদীতে অবৈধ করাত কল বন্ধে উচ্ছেদ অভিযান,#কোরআন শরিফের ওপর বসা ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট, তরুণ আটক #টঙ্গীতে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা#কুড়িগ্রামে ১২ দফা দাবিতে কৃষক মহাসমাবেশ#সুনামগঞ্জ শিল্প-পণ্য বাণিজ্য  মেলার উদ্বোধন #হত্যা মামলা তুলে নিতে আসামিদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদী#অপসংস্কৃতি রোধে ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই — গাজী মনির#সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শ্রমিক দল নেতা শরীফ হোসেনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে যোগদান#বিশেষ উন্নয়ন সভা#মুক্তিযুদ্ধের ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল(অব:) কেএম সফিউল্লাহ(বীরউত্তম) আর নেই#স্বৈরাচার সরকার আমলের দূর্ণীতিবাজ পিআইও সাখাওয়াত হোসেন ঘুরে ফিরে ময়মনসিংহে এখনো বহাল তবিয়তে !#আড়াইহাজারে লিজকৃত সম্পত্তির বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট#সাউন্ডবাংলা-পল্টনাড্ডায় ৭৩ দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন সিফাত খান#ফতুল্লায় একাধিক মামলার আসামি মাদক ব্যবসায়ী শামীম বেপরোয়া#আড়াইহাজারে শীতার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম্বল বিতরণ করলেন সহকারী কমিশনার ভূমি নঈম উদ্দিন#আড়াইহাজারে দুই শীর্ষ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার, ২৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার#পূর্বাচলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত#মিঠামইনে প্রবাসীর টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা প্রতারক রিপন#৪৫ বছরের পুরনো বাড়ি জোরপূর্বক দখল করে নিল ভাই-ভাতিজারা ‎#শেরপুরে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব ১৭ এর ফাইনাল খেলা

মুক্তিযুদ্ধের ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল(অব:) কেএম সফিউল্লাহ(বীরউত্তম) আর নেই

প্রতিবেদক এর নাম / ৪ বার পড়া হয়েছে
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ন

প্রকাশের সময় 26/01/2025

শোক সংবাদ মোঃ নওয়াব ভূইয়া রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা বাংলাদেশের প্রথম ও সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক সংসদ সদস্য, ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার ও মুক্তিযুদ্ধ কালীন এস ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জেনারেল(অব:) কেএম সফিউল্লাহ বীরউত্তম ইন্তেকাল করেছেন। আজ ২৬জানুয়ারি রোববার সকাল ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জানা গছে, ১৯৩৪সালের ২সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া হাইস্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে পড়া অবস্থাতেই যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৫৫ সালে কমিশন পান। ১৯৬৮ সালে ডিফেন্স স্টাফ কলেজ থেকে পিএসসি করেন। তিনি স্কুল অব ইনফেন্টিতে প্রশিক্ষক ছিলেন। ১৯৭০ সালে পদোন্নতি পেয়ে আবার ব্যাটেলিয়নে ফিরে আসেন কেএম সফিউল্লাহ। ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তিনি বীরউত্তম খেতাব পেয়েছেন। তাঁর খেতাবের সনদ নম্বর দুই। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার। পরে তাঁর নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরি করা এস ফোর্সের প্রধান হন। মুক্তিযুদ্ধের আগে কেএম সফিউল্লাহ ছিলেন দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে কেএম সফিউল্লাহর নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১০ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ৩নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন কেএম সফিউল্লাহর। তাঁর অধীনে থাকা ৩ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন এলাকা ছিল হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ। মুক্তিযুদ্ধের অক্টোবর মাসে তাঁর নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় এস ফোর্স। এই ফোর্সের অধীনে ছিল দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ১১নম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। কেএম সফিউল্লাহর নির্দেশে ও নেতৃত্বে অসংখ্য দুর্ধর্ষ ও সফল অপারেশন পরিচালিত হয়। তিনি এসব অপারেশনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করেন। কেএম সফিউল্লাহর পরিকল্পনায় সিলেটের একাংশ, আশুগঞ্জ, ভৈরব ও মাধবপুর হানাদারমুক্ত হয়। তাঁর নেতৃত্বে হানাদারমুক্ত হয় আশুগঞ্জ, ভৈরব, লালপুর, আজবপুর, সরাইল, শাহবাজপুর, মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর। ৬ডিসেম্বর হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া থেকে কেএম সফিউল্লাহ আশুগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনীর এক জেসিও প্রায় লাফিয়ে কেএম সফিউল্লাহকে জাপটে ধরে তীব্র ধস্তাধস্তি করেন। একপর্যায়ে কেএম সফিউল্লাহকে লক্ষ্য করে তিনি স্টেনগানের ট্রিগার চাপেন। এসময় কেএম সফিউল্লাহর কোমরে বাঁধা পিস্তলে গুলি লাগে। কেএম সফিউল্লাহর জেসিওর মাথায় কয়েক দফা আঘাত করতেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে যান জেসিও। কেএম সফিউল্লাহ রাইফেল নিয়ে তাদের গুলি করতে গিয়ে দেখেন রাইফেল ভাঙা। কোমরে থাকা পিস্তলও বিধ্বস্ত। এ সময় কেএম সফিউল্লাহ কচুরিপানা আর কাদাপানিতে ডুবে প্রাণে বেঁচে যান। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন কেএম সফিউল্লাহ। ১৯৭৩ সালের তিনি ব্রিগেডিয়ার এবং একই বছরের ১০ অক্টোবর মেজর জেনারেল পদ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টানা ১৬ বছর তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে আসলে তাঁকে ১ বছরের জন্য ওএসডি করে রাখা হয়। ১৯৯২ সালে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে জান। ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩সালে রূপগঞ্জ গ্রামে তাঁর পিতার নামানুসারে কাজী আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই কেটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর