প্রকাশের সময় 12/02/2025
অমর একুশে বইমেলার একটি বুক স্টলে হট্টগোলের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ভয়েস অব কনসাস সিটিজেন (ভিসিসি)’র চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ‘এ ধরনের বিশৃঙ্খলা আচরণ নাগরিকের অধিকার এবং দেশের আইন উভয়ের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে। একটি কার্যকর রাষ্ট্রে কোনো ক্ষেত্রেই ‘মব’ সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য নয়। সেই নীতিতে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় যা হয়েছে, তাও কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘একুশে বইমেলা হলো দেশের লেখক ও পাঠকদের প্রাণের মেলা। এটি বাংলাদেশের সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, চিন্তক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মিলনস্থল। এই মেলায় এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা শুধু বাংলাদেশের উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চাকে ক্ষুণ্ণ করে না, বরং ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদদের মর্যাদার প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর বইমেলা নিয়ে এই নাগরিকদের আশা ছিল, সব চিন্তা ও মতের প্রকাশ মুক্ত ও অবারিত হবে। সব লেখক-প্রকাশক নির্ভয়ে নিজেদের বই প্রকাশ, পরিবেশন ও বিক্রয় করতে পারবেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর এমন আঘাতের ঘটনায় দেশবাসী অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলেও তাঁরা একইভাবে একুশে বইমেলার ওপর বারংবার আক্রমণ ঘটতে দেখেছে দেশবাসী।’ বিবৃতিতে গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘সরকার সব মানুষের ধর্মীয় ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় ব্যর্থতার পরিচয় দিলে দেশে বিশৃংলা সৃষ্টি হবে। এর ফলে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি তাদের ষড়যন্ত্র সফল করতে সচেষ্ট থাকবে। এ অবস্থায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ও অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ধারণ করা বাংলাদেশের সব স্তরের জনগণকে দেশে ও বিদেশে আওয়ামী ও ধর্মীয় ফ্যাসিবাদীদের নানা রকম চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও উসকানিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।’ তিনি ‘সারা দেশে মাজার, ওরস শরিফ ও মেলার ওপরে আক্রমণ, নারী ফুটবলের ওপর হামলা, বিভিন্ন ভাস্কর্য ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আহআবান জানান।