মোঃ নওয়াব ভূইয়া (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ডহরগাঁও এলাকার জুলেখা বেগমের ভাড়া বাড়িতে গ্যাস লাইনের লিকেজ বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৬জন দগ্ধ হয়েছে। গত ২৫অক্টোবর শুক্রবার রাতে মশার কয়েলে আগুন ধরাতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন গৃহকর্তা মোহাম্মদ বাবুল হোসেন(৪৭), স্ত্রী- সেলিনা বেগম(৩৭), ছেলে-মোহাম্মদ ইসমাইল মিয়া (১৬), সোহেল মিয়া(২৫), মেয়ে- তাসলিমা আক্তার(১২) ও পুত্রবধূ- মুন্নী আক্তার(২২)। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবিগঞ্জ থানার ছোট সাকুয়া গ্রামে। তারা দীর্ঘদিন ধরে ডহরগাঁও জুলেখা বেগমের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছে। দুর্ঘটনায় বসত ঘর ভষ্মীভূত হয়। দগ্ধ বাবুল হোসেনের চাচা মোগল মিয়া জানান, তারা রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন পোশাক কারখানার শ্রমিক। কাজ শেষে তারা বাসায় ফিরে মশার কয়েলে আগুন ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গ্যাস লাইনের লিকেজ হয়ে আগে থেকেই তাদের বসত কক্ষ ভর্তি হয়ে ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধার করে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছে, আহতরা ৫৫ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছেন। তবে এই মুর্হূতে দগ্ধের সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা যাচ্ছে না। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক বলেন, নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, তিতাস লাইন লিকেজ হয়ে আগে থেকেই ঘরে গ্যাস ভর্তি ছিল। মশার কয়েলে আগুন ধরাতেই বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য গত দুই বছরে ডহরগাঁও গ্রামে গ্যাসের পাইপ লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের তিনটি ঘটনায় অন্তত ২৩ জন আহত ও ৭ জনের মৃত্যু হয়।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক সকাল প্রতিদিন
কারিগরী সহায়তায় তাইপুর রহমান তপু।