নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় বিএনপি'র নেতা মাহমুদ খানের গ্রুপের হামলায় আরেক বিএনপির নেতা ফেরদৌস শেখ এর গ্রুপের মিরান শেখ (৩০) ও জিয়াউর শেখ (৪০) নামে আপন ২ ভাই নিহত হয়েছে। এবং আরেক ভাই ইরান সহ ২ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামের আইয়ুব এর দোকানের উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে।নিহত মিরান শেখ ও জিয়াউর শেখ লোহাগড়া উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামের মৃত,সামাদ শেখের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লোহাগড়া উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি নেতা মাহমুদ গ্রুপ ও আরেক বিএনপির নেতা ফেরদৌস শেখ গ্রুপের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
বুধবার সকালে ফেরদৌস গ্রুপের মিরান ও জিয়াউর শেখ ওই তুচ্ছ ঘটনার মীমাংসার জন্য যাচ্ছিলেন প্রতিমধ্যে আইয়ুবের দোকানের উত্তর পাশে পৌছালে পূর্ব বিরোধের জেরে মাহমুদ গ্রুপের লোকজন তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পরে আহতদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক মিরান ও জিয়াউর শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। আরেক ভাই আহত ইরান কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করে।

এঘটনার পরে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহত আহত দেখতে যান উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সেলিমুজ্জামান, ও পৌর বিএনপির আহবায়ক গোলাম রসুল মোল্লা, তারা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের কঠিন বিচার দাবি করছি এবং মাহমুদ খানের বিএনপির পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি করছি জেলা কমিটির থেকে।

এদিকে ফেরদৌস গ্রুপের ২ জনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি নেতা মাহমুদ খানের বাড়ি সহ আরও ২ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

এবিষয়ে নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস্ তারেক আল মেহেদী ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন ও নিহতের পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলেন এবং সাংবাদিকদের বলেন এঘটনার দুটি গ্রুফ বিএনপি'র তারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়া হবে। এবং এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।