প্রকাশের সময় 15/10/2024
— বাংলা—ভারতের অবিসংবাদিত ইসলাম প্রচারক, হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী খাজা মুহাম্মদ ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (রহ.)’র দ্বিতীয় সাহেবজাদা, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত লেখক, হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী খাজা মুহাম্মদ ছাইফুদ্দীন এনায়েতপুরী শম্ভূগঞ্জী (রহ.)’র ২৯তম বার্ষিক ফাতেহা শরীফ ময়মনসিংহের লালকুঠি পাক দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের সদারত করেন বর্তমান সাজ্জাদানশীন, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, হযরত মাওলানা খাজা সুজাউদ্দোলা (মা.জি.আ.)। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পীরজাদা শাহ সুফি মাওলানা খাজা মুহাম্মদ আলাউল হক অলি নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী ( মা. জি. আ.)। আলোচনায় তিনি বলেন, নবী করিম হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (দ.)’র জীবনাদর্শ অনুযায়ী জীবন—যাপন করলে আমরা উভয় জগতে সফলকাম হতে পারবো। অন্যথায় আমরা আখেরাতে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হব। আমাদের উচিত— অলি—আল্লাহদের সোহবতে থেকে নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। আমার আব্বাজান (রহ.) একজন সত্যিকার খোদাভীরু এবং আশেকে রাসূল (দ.) ছিলেন। তিনি জীবনে কোনদিন সালাত কাজ¦া করেননি। সবসময় শরিয়তের উপর অটল থেকেছেন এবং আল্লাহ ও রাসূল (দ.)’র নির্দেশিত পথে ও মতে জীবন গড়েছেন। তাঁর লিখিত বইগুলো আমাদের সত্য পথ দেখায়। সত্য ধর্ম ইসলামের বিজয় নিশান উড্ডয়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রাথমিক কর্মসূচি শুরু হয়। কুরআন খতম, হামদ— নাত, জিকির—আজকার, মিলাদ—ক্বিয়াম, মুনাজতসহ নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ফাতেহা শরীফ পরিপূর্ণ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ ভক্ত—মুরিদান উক্ত ওরছ শরীফে জমায়েত হয়। ভক্ত—আশেকানের জিকিরের প্রভাবে পুরো এলাকায় কান্নার রুল উঠে। নেসবতে শাহ্ এনায়েতপুরী সিলসিলার একটি মর্মস্পর্শী জিকির সকলকে আল্লাহ ও রাসূল প্রেমের স্পৃহা সৃষ্টি করে— ইয়া আল্লাহু, ইয়া রহমানু, ইয়া রাহিম, ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন। আজ ১৫ অক্টোবর বাদ ফজর হতে নানা ধর্মীয় আমল, আচার—অনুষ্ঠানের পর আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠেয় ফাতেহা শরীফ। দেশবরেণ্য আলেম ওলামাগণ, শিক্ষাবিদ, গুণীজন ও মান্যবর ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণী পেশার লক্ষাধিক মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে। মুনাজাতে দেশ ও জাতি কল্যাণে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।