জানা যায়, বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে স্থানীয় মসজিদ ঘর ক্লাবের মতো করে দখলে নিতে চেয়েছে। ভেঙে দিতে চেয়েছে কমিটি। জুম্মার নামাজের সময় মসজিদের মাইকে এলাকার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে নিজের সেনাপতি হিসেবে ডেস্কি বাবুলের অন্যতম এক পোলাপান সহযোগীর নাম ঘোষণা দেয় এবং বলে এখন থেকে এলাকার সবাই সব বিষয়ে ওর সাথে যোগাযোগ করবেন। যা উপস্থিত মুসল্লীগণ বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি এবং কেউ মেনে নিতে পারেনি। এরকম বিশৃঙ্খল আচরণ এবং একজন পুচকে ছেলেকে এলাকার দখলদারিত্ব দিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটছে। অন্যদিকে এলাকার শিল্প কারখানাগুলোর মালিকরা রয়েছে আরও আতংকে। জুট ব্যবসা নিয়ে দলীয় লোকজনের সাথে আধিপত্য রক্ষায় করছে রেসারেসি এবং হাঙ্গামা। অথচ বিএনপির জেলা সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন জনস্বার্থে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সকল নেতাকর্মীদের সৌহার্দ্যপূর্ণ বজায় রেখে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনা অমান্য করে এলাকার আওয়ামী সন্ত্রাসী শাহজাহান ও শহিদুল্লাহকে মোট অংকের অর্থের বিনিময়ে আশ্রয় প্রশ্রয় নিয়ে সকল অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় মাথামোটা ডেস্কি বাবুল। এলাকার মানুষ ছিঃ ছিঃ করছে আর ভৎর্সনা দিচ্ছে। ভূমিদস্যু শাহজাহানের বাড়িতে নিয়মিত খোজখবর রাখতে ডিএইচ বাবুল তার সহযোগী ও বিএনপি দলীয় কর্মীদের পাঠাচ্ছে যা অনেকেই মেনে নিতে পারছেনা। টাকার লোভে নিজেকে বিলিয়ে দিতে একটুও দ্বিধাবোধ করেনা ডেস্কি বাবুল। ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পরিচয়ে ডিএইচ বাবুল আধিপত্য বিস্তার করলেও মূলত সে আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনের লোক নয় বরং আওয়ামী সরকারের লেজুর ভিত্তিক দলের এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত এই বাবুল। ভোল্ট পাল্টে এখন গিয়াস গিয়াস করছে। এলাকার পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নষ্ট করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং অপরাধীদের শেল্টার দেওয়ায় ডিএইচ বাবুলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দাখিল হয়েছে। তবে ডিএইচ বাবুলও কম নয়। পোংটা হিসেবে ডেস্কি বাবুল বিভিন্ন মানুষকে নানা ভাবে হয়রানী করেই ক্ষান্ত হয়নি যথেষ্ট পরিমানে ক্ষয়-ক্ষতি করে নিঃস্ব করে দিয়েছে অনেককে। এলাকার মানুষ পরিত্রান চায়। চায় সামাজিক নিরাপত্তা। এলাকার কোন মানুষ যাতে এই ডিএইচ বাবুলের দ্বারা কোন ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি না হয়। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক সকাল প্রতিদিন
কারিগরী সহায়তায় তাইপুর রহমান তপু।