শাহরিয়ার কবির রিপন :
নাসিক (৪ নং ওয়ার্ড) আটি অব্দা কলোনির বাসিন্দা মোঃ নাজিম উদ্দিন, তার স্ত্রী ও ছোট ছেলে রাসেলকে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগে। নাজিমুদ্দিনের বড় ছেলে দ্বীন ইসলাম, (৪০) ও মেজ ছেলে ফয়সাল (৩৬)এর বিরুদ্ধে গত (৩০ অক্টোবর) নাজিমুদ্দিনের স্ত্রী নুরুন্নাহার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার, উপপরিদর্শক (এস আই) ওয়াসিম আকরাম, (৩১ অক্টোবর) নাজিমুদ্দিনের ফোন পেয়ে বাসায় যান।
নাজিমুদ্দিন বলেন, আমাদের বাসায় ঢুকতে দেয় না বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে থাকি(এস আই) ওয়াসিম আকরাম,দুই পক্ষকে ডেকে বোঝানো হয়েছে এবং থানায় মীমাংসার কথা বলা হয়েছে কিন্তু তার ছেলেরা থানায় আসেনি।এবং মীমাংসায় বসতে চায় না,যেহেতু তাদের পারিবারিক বিষয় তাই আমি তাদেরকে আদালতের দারস্ত হওয়ার পরামর্শ প্রদান করি।
নাজিমুদ্দিনের ছোট ছেলে রাসেল বলেন, (এস আই) ওয়াসিম আকরাম ঘটনা পরিদর্শন করে চলে যাওয়ার পরে নাসিক (৪ নং ওয়ার্ড) আটি অব্দা কলোনি আমার বাড়িতে অবৈধ গ্যাসের চুলা বসিয়ে আমার কাছে ১৭ লক্ষ টাকা দাবি করে, আমার দুই বড় ভাই দ্বীন ইসলাম ও ফয়সাল,এবং আমার নামে অবৈধ চুলা ব্যবহারের দায়ে আমাকে বিপদে ফেলবে বলে হুমকি দেন।
রাতে বাবা, মা,ও আমি নানির বাসায় চলে যাই ভয়ে
কিন্তু সেখানেও রাতে দুই ভাই এসে আমাকে মারার জন্য বাড়ির ভিতরে এবং ঘরে হামলা চালায়।বটি দিয়ে দুই ভাই দরজায় কোপাতে থাকে একপর্যায়ে আমি দরজায় খিল মেরে বসে থাকি,বড় ভাই বেসিন সহ চেয়ার ভাঙচুর করে এবং ভাড়াটিয়া ও প্রতিবেশী এগিয়ে আসলে তাদের একজনের গায়ে হাত তোলে,দ্বীন ইসলাম ও ফয়সাল।এবং বাবার পায়ের একটা আঙ্গুল কেটে যায়। এক পর্যায়ে ডেমরা থানায় ফোন করি।মানুষজন জড়ো হলে একপর্যায়ে তাদের নামে জায়গা সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য বলে, এবং হুমকি দিয়ে চলে যায়।
নাজিমুদ্দিনের ছোট ছেলে রাসেল আরো বলেন, আটি অফদা কলোনিতে আমার একটি দোকান রয়েছে দোকানটি আমি বড় ভাইদের ভয়ে খুলতে পারিনা। তাই আমার ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। আমার বাবা-মা আমি সকলের কাছে ও অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক সকাল প্রতিদিন
কারিগরী সহায়তায় তাইপুর রহমান তপু।