বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
নাশকতা মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেফতার।। নারায়ণগঞ্জ ইয়ং ফাইটার্স ক্লাবের খেলোয়াড়দের ট্রাকস্যুট ও জার্সি প্রদান ইয়াসিন ডাকাতের আতঙ্কে রয়েছে গাড়ির ড্রাইভার হেলপাররা তিনি লাইসেন্সধারী দালাল, হাতান তিনগুণ টাকাও বকশীগঞ্জে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে অভিযান।। বাণিজ্য মেলায় নকল পণ্যের ছড়াছড়ি । ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে লক্ষ টাকা জরিমানা ২২ জানুয়ারী মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৫৩তম বার্ষিকী জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নাসিক ৩নং ওয়ার্ড যুবদলের মিলাদ ও খাবার বিতরণ এনামুল হক স্বপন ও সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল কে হাসান আল মামুনের শুভেচ্ছা বকশীগঞ্জে ভোরের দর্পণের ২৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত।।

ব্রেকিং নিউজ
#নাশকতা মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেফতার।।#নারায়ণগঞ্জ ইয়ং ফাইটার্স ক্লাবের খেলোয়াড়দের ট্রাকস্যুট ও জার্সি প্রদান#ইয়াসিন ডাকাতের আতঙ্কে রয়েছে গাড়ির ড্রাইভার হেলপাররা#তিনি লাইসেন্সধারী দালাল, হাতান তিনগুণ টাকাও#বকশীগঞ্জে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে অভিযান।।#বাণিজ্য মেলায় নকল পণ্যের ছড়াছড়ি । ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে লক্ষ টাকা জরিমানা#২২ জানুয়ারী মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৫৩তম বার্ষিকী#জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নাসিক ৩নং ওয়ার্ড যুবদলের মিলাদ ও খাবার বিতরণ#এনামুল হক স্বপন ও সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল কে হাসান আল মামুনের শুভেচ্ছা#বকশীগঞ্জে ভোরের দর্পণের ২৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত।।#শেরপুরে ৭৭ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের ১২ জন প্রশিক্ষনার্থী’র সংযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা#দিরাইয়ের সরমঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল সাময়িকভাবে বরখাস্ত#সৌদি আরবে “ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি সোসাইটি”র বনভোজন ও নাশিদ সন্ধ্যা#শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তার সাথে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত#মির্জাপুরে পুরনো শত্রুতার জের ধরে মারামারি,আহত-১০ ‎#বকশীগঞ্জে এশিয়ান টেলিভিশনের ১৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত।।#বাঞ্ছারামপুরে কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত আলেমদের পদচারণায় মুখরিত এলাকা#জগন্নাথপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত#রক্ষী বাহিনীর অত্যাচারে ৭১ এর স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি সাধারণ মানুষ ———নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির#রূপগঞ্জে মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত।

২৮ অক্টোবরের পৈশাচিকতা ইতিহাসের কালো অধ্যায়

প্রতিবেদক এর নাম / ২৫ বার পড়া হয়েছে
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন

প্রকাশের সময় 26/10/2024

।। এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া ।।
১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে একটি প্রহসনের যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। সেই থেকেই শুরু হয় বাংলার স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম আর লড়াই। দীর্ঘ প্রায় দু’শত বছরের সংগ্রাম আর লড়াইয়ের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে পৃথিবীর মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত হয় পাকিস্তান। কিন্তু বৃটিশ মুক্ত স্বাধীন দেশ অর্জন হলেও স্বাধিকার ও অধিকার অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশের জনগণ। আবারো শুরু হয় সংগ্রাম আর লড়াই। এবার স্বাধিকার-অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনের লড়াই।

‘৫২ ভাষা আন্দোলন, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০-এর নির্বাচন সর্বশেষ ১৯৭১ সালের রক্ষক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পৃথিবীর মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ আর লাল-সবুজের পতাকা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরও মুক্ত হলো না, আবারো শুরু হয় লড়াই ও সংগ্রাম। যে গণতন্ত্র ও বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য ১৯৪৭-এর পর থেকেই পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম ছিল যারই চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, সেই আকাঙ্ক্ষা আবারো ভূলুণ্ঠিত হলো।

স্বাধীনতা পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর একটি জাতীয় সরকার গঠনের আহবানকে পাশ কাটিয়ে প্রতিষ্ঠিত হলো আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার। সরকার প্রতিষ্ঠার পর পরই শুরু হলো পুরোনো সেই লুণ্ঠন আর একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার খেলা। স্বাধীনতার পর পরই ভারতীয় মিত্রবাহিনী যখন বাংলাদেশের সম্পদ লুণ্ঠন শুরু করলো তখন তাদের এই অপকর্মের বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ জলিল। দুঃখজনক তার এই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের পুরস্কার হিসেবে তৎকালীন সরকার তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠালো। বঞ্চিত করলো মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বীর উত্তম থেকে। স্বাধীনতার পর পরই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দী হলেন মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল। আওয়ামী সরকার এখানেই ক্ষান্ত হলো না, সেই শুরু তারপর কমরেড সিরাজ শিকদারসহ প্রায় ৩৬ হাজার দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাকর্মীর রক্তে রঞ্জিত করলো তাদের হাত। ৪টি সংবাদপত্র বাদে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করা হলো, সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ২৫ জানুয়ারি ৭৫ মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ও চেতনা বহুদলীয় রাজনীতিকে গলা টিপে হত্যা করে প্রতিষ্ঠিত করলো একদলীয় বাকশাল।

আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক চরিত্র বহন করে যে, তারা কখনো তাদের সমালোচকদের সহ্য করতে চায় না। তারাই তাদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী যখন রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ প্রতিষ্ঠা করতে গেলো তখন এই সম্মেলনে আক্রমণ করতে একটুকুও দ্বিধা করলো না। তৎকালীন সংসদের স্পীকার শাহেদ আলী পাটোয়ারীকেও সংসদের ভেতর হত্যা করলো। এটাই হচ্ছে আওয়ামী চরিত্র। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর হচ্ছে আওয়ামী লীগের সেই পুরনো ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। ২০০৬ সালেরর এই দিনে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে পল্টনে প্রকাশ্য দিবালোকে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম ঘটনা ঘটেছে। যা জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আমাদের করেছে লজ্জিত, অপমাণিত। সমগ্র বিশ্বের সভ্য মানুষের মনে আমাদের সভ্যতা ও মানবতা সম্পর্কে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীর কোন আন্দোলনে লাশের ওপর দাঁড়িয়ে উল্লাসের ঘটনা অতীতে ঘটেছে কিনা তা সচেতন মানুষই ভালো বলতে পারবেন। ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের জন্য একটি কলংকিত অধ্যায়।

শান্তিকামী মানুষের জন্য এই দিনটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত, বীভৎস ও নিন্দনীয়। এই ঘটনা ‘৭২-৭৫-এর আওয়ামী দুঃশাসনকেই দেশবাসীকে মনে করিয়ে দেয় বারবার। সরকার পরিবর্তন কিংবা সরকারবিরোধী আন্দোলন কিংবা দাবি আদায়ের আন্দোলন, হরতাল-অবরোধ, অসহযোগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক পদ্ধতি অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু দাবি আদায়ের নামে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করে প্রকাশ্যে তাদের লাশের ওপর এভাবে পৈশাচিক তান্ডব-নৃত্য পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে ঘটেছে বলে কোন বিবেকমান মানুষ বলতে পারবে না। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের দাবিদার দলের পক্ষে এ ধরনে ঘটনা ঘটানো হলো কেন কিংবা কেনই বা তারা এই ধরনের হিংসাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়ন করলো এবং কেনই তাদের শীর্ষ নেতৃত্বে লগি-বৈঠার এই অশুভ কর্মসূচি গ্রহণ করলো? ৪ দলীয় জোটের মেয়াদ শেষ হবার মাত্র একদিন পূর্বে সরকারের শরীক জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের ৬ জন নেতাকর্মীকে এভাবে লগি-বৈঠার মাধ্যমে প্রকাশ্যে রাজপথে হত্যা করে আবার সেই লাশগুলোর ওপর পৈশাচিকতার নৃত্য কেন?

গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকারের ভুল-ত্রুটিগুলো জনসম্মুখে প্রচার করে তার মাধ্যমে ব্যালট বিপ্লব ঘটিয়ে মহাজোট ক্ষমতায় যাবে এটাইতো রাজনীতি হওয়া উচিত ছিল। তা না করে কেন এই পৈশাচিকতা? জনমনে তখন এই প্রশ্নগুলোর উদ্বেগ হলেও উত্তর ছিল না। কিন্তু এখন মনে হয় উত্তর খোঁজার জন্য জনগণকে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো না। উত্তর আজ দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট। এই ঘটনার মাত্র একদিন পরই তৎকালীন ৪ দলীয় সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট তা গ্রহণ করে নিতে পারেনি। তারা আবারো বিভিন্ন নন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। সেই সময় একদিন দেশের প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক মরহুম আনোয়ার জাহিদের বাসায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়কালে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ১০০% গ্যারান্টি চায়। এছাড়া তারা দেশে কোন নির্বাচন হতে দিবে না। আর অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তি তাদের পদলেহনকারী একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগকেই বেশি পছন্দ করে। সেই শক্তি মনে করে দেশবাসীর জনমত দেশপ্রেমিক-জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে চলে যেতে পারে আর তাই আন্দোলন অব্যাহত রেখে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার অনূকূল পরিশে সৃষ্টি করতে হবে।’’ আজকে আমার কাছে মনে হয় প্রাজ্ঞ রাজনীতিক মরহুম আনোয়ার জাহিদের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ২০০৮সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে। ২৮ অক্টোবরের পরে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অকার্যকর করার ফলে সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তি এবং আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের নীল-নকশার অংশ হিসেবেই ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জেনারেল মইন উ আহমদ পরোক্ষ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হলো ড. ফখরুদ্দিন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শুরু হলো সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তির নতুন নাটক। দুর্নীতি দমনের নামে দেশকে রাজনীতি শূন্য করার প্রক্রিয়া, গ্রেফতার করা হলো দেশের প্রধান দুই দলের প্রধান ও সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। বিভিন্ন অজুহাতে গ্রেফতার করা হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলসহ বহু রাজনীতিকদের। সেই সময়কার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের এবং সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমদের মুখ থেকে দেশবাসী নানা ধরনের ওয়াজ-নসিহত শুনতে থাকলো। সৎ, যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির কারখানার কথাও শুনতে পেয়েছিল দেশবাসী। তাদের এই ওয়াজ-নসিহতে অনেক বিজ্ঞ রাজনীতিকরাও বিভ্রান্ত হয়ে নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে কালিমা লেপন করলো। অবশ্য তাদের এই ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে চাপও প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে শোনা যায়। মাইনাস দু’ফরমুলার কথাও প্রচারিত হলো দেশবাসীর নিকট।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই কেটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর