বাগেরহাটে প্রকাশ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের এক বিএনপি নেতাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সদর উপজেলার বাগেরহাট-রামপাল আঞ্চলিক সড়কের মির্জাপুর আমতলা মসজিদের সামনে তাকে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার মীর্জাপুর মধ্যেপাড়া জামে মসজিদের সামনে বাগেরহাট-গিলাতলা সড়কে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ জানান।
তিনি ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, চাচা কামাল তরফদারকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে বাগেরহাট-রামপাল সড়ক দিয়ে বাগেরহাট শহরে যাচ্ছিলেন সজিব তরফদার। দুপুর ২টার দিকে মির্জাপুর আমতলা মসজিদের সামনে পৌঁছালে কিছু লোক তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। তারা গুলি করে ও কুপিয়ে সজিব তরফদারকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এসময় গুলিতে মোটরসাইকেলে থাকা নিহতের চাচা কামাল তরফদার আহত হন। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হত্যাকণ্ডের তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা, এর পেছনে যারা রয়েছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
সজিবের বড় ভাই নাজমুল তরফদার বলেন, ‘সজিব বাড়ি থেকে বাগেরহাটে যাচ্ছিল। সঙ্গে চাচা ছিলেন। হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার ভাইয়ের মাথায় চারটি গুলি লেগেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক বলেন, ‘সজিব তরফদার জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। সে কারণেও তার প্রতিপক্ষরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।’
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি গুরুত্বের তদন্ত করা হচ্ছে পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ বলেন, “এতে জড়িতদের অল্পদিনের মধ্যে শনাক্ত করে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হবে। হত্যা নিশ্চিত করতে একাধিক দল ছিল, হত্যাকারীরা মুখোশ পড়া ছিল। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক সকাল প্রতিদিন
কারিগরী সহায়তায় তাইপুর রহমান তপু।