প্রকাশের সময় 07/11/2024
ছাত্র জনজনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করে ভারত। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন।
গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবিলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর আওয়ামী লীগ অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এই বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ‘‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এই প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাকি ‘নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে বিবেচনা করছে ভারত। এমন প্রশ্নের জবাবে ভারতের সরকারের অবস্থান তুলে ধরে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা এখান থেকে ইতিমধ্যে বলেছি যে, তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের এটাই অবস্থান।’
এছাড়া ভারতের সরকার বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কোন মর্যাদায় রেখেছে, সে বিষয়েও কিছু জানায়নি দিল্লি। তবে গত ২৪ অক্টোবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনের একটি সেইফ হাউসে বসবাস করছেন। গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে ভারতের সরকার তার জন্য এই ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন–
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে সামরিক বিমানে করে ভারতে যান শেখ হাসিনা। তখন থেকেই দিল্লির একটি সেফ হাউসে আছেন তিনি। তবে তিনি ঠিক কোন এলাকায় রয়েছেন, সেই বিষয়ে ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য জানানো হয়নি।
দ্য প্রিন্ট বলছে, ভারত সরকারের মন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়ির মতো লুটিয়েনসের বাংলোতে শেখ হাসিনাকে তার মর্যাদা অনুযায়ী একটি বাড়ি দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দ্য প্রিন্ট বাড়িটির সঠিক ঠিকানা অথবা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে।