প্রকাশের সময় 26/08/2024
পাউবো নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘রেগুলেটরটি ভেঙে যাওয়ায় উজান থেকে পানি নিষ্কাশনে কোনো সমস্যা হবে না। রেগুলেটরের ৬৫০ মিটার দূরে সন্দ্বীপ চ্যানেল অবস্থিত। সুতরাং ভাটিতে কোনো লোকালয়ের ক্ষতি হবে না, কিন্তু উঁচু জোয়ারের সময় ডাইভারশন চ্যানেল দিয়ে ভেতরের দিকে পানি প্রবেশ করতে পারে।’
সোমবার (২৬ আগস্ট ) সকালে বন্যার পানির তীব্র চাপে ভেঙে গেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর।
এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলেছে, রেগুলেটর ভাঙলেও সমস্যা হবে না পানি নামায়।
পাউবো নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘রেগুলেটরটি ভেঙে যাওয়ায় উজান থেকে পানি নিষ্কাশনে কোনো সমস্যা হবে না। রেগুলেটরের ৬৫০ মিটার দূরে সন্দ্বীপ চ্যানেল অবস্থিত। সুতরাং ভাটিতে কোনো লোকালয়ের ক্ষতি হবে না, কিন্তু উঁচু জোয়ারের সময় ডাইভারশন চ্যানেল দিয়ে ভেতরের দিকে পানি প্রবেশ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমতাবস্থায় নদী ভাঙনের কোনো সম্ভাবনা নাই, তবে যেহেতু জোয়ারের সময় পানি ভেতরে ঢুকবে, এটা পরবর্তী সময়ে বোঝা যাবে। প্রাথমিকভাবে এটা বলা যাচ্ছে না। স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নাই।’
ডাকাতিয়া নদীর মুখে ২০০৪ সালে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে মুছাপুর রেগুলেটেরর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। এর কাজ শেষ হয় ২০০৯ সালের দিকে। এতে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর, চরপার্বতী, চরহাজারী ইউনিয়ন নদী ভাঙা এবং অতিরিক্ত জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পায়।
আজ সকালের দিকে প্রথমে রেগুলেটরে একটু ফাটল দেখা দেয়। সকাল ১০টার দিকে রেগুলেটরের মাঝখানের অংশ ভেঙে যায়। একপর্যায়ে পুরো রেগুলেটর ভেঙে ডাকাতিয়া নদীতে তলিয়ে যায়।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট নোয়াখালীর বন্যার পানি নামাতে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটরের তিন মিটার বাই তিন মিটার আয়তনের ২৩টি গেটের সবগুলো গেট খুলে দেয়া হয়। ফলে কোম্পানীগঞ্জের ওপর দিয়ে কাকড়ি নদী ও ত্রিপুরার পানি এবং নোয়াখালীর বৃষ্টির পানির সমন্বয়ে উজানের পানি মুছাপুর রেগুলেটরের ২৩টি গেট দিয়ে বঙ্গোপসাগরে নেমে যাচ্ছিল, কিন্তু রেগুলেটরটি ভেঙ্গে যাওয়ায় জোয়ারের সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশ তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।