প্রকাশের সময় 05/09/2024
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের গোবরাচালা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।জানা যায়, ওই এলাকার জয়দল মিয়ার ছেলে রাশেদুল ইাসলামকে (২০) বিয়ে করার জন্য পাশের এলাকার মিম (১৯) নামের এক মেয়ে রাশেদুলের বাড়িতে একাধিকবার অনশন করেন।মিম উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের তক্তারচালা পাটজাগ এলাকার মেয়ে।
স্থানীয়দের তথ্য মতে,রাশেদুলের সাথে মিমের সম্পর্ক ফেসবুক থেকে।তারা ৬ মাস প্রেমের সম্পর্ক করে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াই।পরে হঠাৎ রাশেদুল মিমের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলে একদিন ভোরবেলা মিম রাশেদুলের বাড়িতে উঠে বসে।এমন ঘটনা ঘটে আজ থেকে প্রায় ২০-২৫ দিন আগে।পরে স্থানীয় মাতাব্বররা জানলে দুই পক্ষ বসে মেয়েকে তার পরিবারের কাছে দিয়ে দেয়া হয়।তবে শর্ত থাকে যে বিয়ে করতে হবে।কিন্তু বিয়েতে রাজি ছিলেন না রাশেদুল।রাশেদুলকে এক প্রকার জোড় করে রাজি করানো হয়।পরে রাশেদুল আবার সবার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
পরে হঠাৎ করে আজ থেকে ৬-৭ দিন আগে রাশেদুল আরেক মেয়েকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে।এই খবর যখন সাবেক প্রেমিকা মিম জানতে পারে,পরদিন সকালে মিম আবার রাশেদুলের বাড়িতে উঠে বসে।পরে রাশেদুলের বোন, বোন জামাই,চাচি আম্মা মিমকে বুঝিয়ে তাদের বাড়িতে দিতে যায়।পরে মিমের পরিবার তাদের আটক করে।দুইদিন তাদের আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে,পরে হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় মাতাব্বরদের ডাকে মিমের পরিবার।পরে মিমকে আবার রাশেদুলের বোন,বোন জামাই,চাচি আম্মার সাথে দিয়ে দেন।মিম এখন রাশেদুলের বাড়িতে থাকলেও রাশেদুল তার নববধূকে নিয়ে আত্নগোপনে আছে।এদিকে রাশেদুলের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে মাতাব্বররা।মাতাব্বররা বলেন,রাশেদুলকে উপস্থিত রাখতে হবে,আমরা তার বিচার করুম।বিচারের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা রাশেদুলদের বাড়িতে।কিন্তু এ বিষয়ে রাশেদুলের সাথে যোগাযোগ করেও কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রাশেদুলের পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।রাশেদুলের পরিবার জানান,রাশেদুল কোথায় আছে আমরা জানিনা।তাকে ছাড়া কিভাবে বিচার করবে।আমাদের চাপ দিয়ে কি হবে।অপরাধ করেছে রাশেদুল,তার পাপের প্রাশ্চিত্য তাকেই ভোগ করতে হবে।সেক্ষেত্রে বিচারের জন্য আমাদের চাপ দেয়ার কিছু নাই।
স্থানীয় মাতাব্বরদের মধ্যে অনেকেই রাশেদুলের পরিবারের নিকট থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে চেয়েছে কিন্তু রাশেদুলের পরিবার তা দেই নি।যেকারণে রাশেদুলের পরিবারকে বিচারের জন্য এত চাপ দিচ্ছে মাতাব্বররা।এই মূহুর্তে প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তা চান রাশেদুলের পরিবার।রাশেদুলের পরিবারের কোন সদস্যদের যদি কোন ক্ষতি হয় তাহলে তার দায়ভার কি মাতাব্বররা নিবে?