প্রকাশের সময় 01/11/2024
লেখক এসডি সোহেল রানা বি,এ
স্টাফ রিপোর্টার, ‘স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাপের বাড়িতে এসেছি। ‘আসার সময় উচ্চস্বরে বলেও এসেছি তোমার সংসার করবোনা। স্বামী আমার কথা শুনে নির্বাক হয়ে শুধুমাত্র চেয়েছিলো। ‘বাবার বাড়িতে আসা মাত্রই ভাইয়া জিঙ্গেস করলো। কি ব্যপার আয়েশা তুই হঠাৎ বাড়িতে। ‘কেনো আমি কি আসতেছে পারিনা। নাকি আসা বারন আছে। ‘আরে সেটা বলিনাই। তুইতো আসার আগে বলে আসিস। কিন্তু আজ বলে আসলিনা এই জন্যে বললাম। ‘ওহ। ‘আচ্ছা তুই বিশ্রাম কর। আমি বাজার থেকে কিছু নিয়ে আসি। ‘এমনো মুহূর্তে ভাবি বলে উঠলো। বাহ দরদ দেখি উতলে পরতেছে বোনের জন্যে। আমার বাবা-মা আসলে বাজারে যাওয়ার নাম গন্ধ থাকেনা। এই দিকে বোন বাড়িতে আসা মাত্রই বাজারে চলে যাচ্ছে। বলছি-কি পকেটে টাকা আছে। নাকি বাচ্ছার স্কুলে যেই টাকা দিবা সেই টাকা নিয়ে যাচ্ছো হ্যা। ‘ভাবির এমন কথায় ভাইয়া বললো। আরে এমন করে বলতেছো কেনো বুজলাম না। ‘তোমাকে বাজারে যেতে হবেনা। বাসায় যা আছে আয়েশাও সেটাই খাবে। ওই টাকাটা নষ্ট করিওনা। ‘ভাবির মুখে এই কথা গুলা শুনে কি বলবো ভেবে পাচ্ছিনা। কারন পৃথিবীতে আমার এই ভাইটি ছাড়া কেউ নেই। বাবা-মা অনেক আগেই মারা গিয়েছে। ‘ভাইয়া থাক বাজারে যেওনা। আমি থাকার জন্যে আসিনি এই দিক দিয়ে যাচ্ছিলাম তাই ভাবলাম ভাইয়া – ভাবিকে একটু দেখে যাই। এখনতো দেখা হলো। আমি চলে যাচ্ছি। ‘মানে এখনি যাবি। ‘হ্যা ভাইয়া এখনি যাইতে হবে। আচ্ছা ভাবি ভালো থাইকেন যদি সময় পান আমার বাড়িতে আসিয়েন ঘুরতে। ‘আচ্ছা। ‘এর পরে আর একটি কথাও না বলে সোজা স্বামীর বাড়িতে চলে আসলাম। স্বামী আমাকে দেখে মিট-মিট করে হাসতেছে। ‘হাসার কিচ্ছুনেই। ভালোবাসি বলেই চলে আসলাম ‘হ্যা জানিতো। শোন তুমি রান্না বসাও আমি বাজারে থেকে কেনা কাটা করে আসতেছি। ‘আসলেই বিয়ের পরে যদি সুখের কোন স্থান থাকে সেটা স্বামীর বাড়ি। স্বামীর বাড়ি থেকে ঝগড়া করে একবার নিজের বাবার বাড়িতে যান বাস্তবতা বুজবেন। কে-আপন আর কে-পর বুঝা যায়।