প্রকাশের সময় 30/11/2024
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাইনবোর্ডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. রিয়াজ নিহতের হওয়ার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ১৯২ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এই মামলায় আসামী করা হয় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার ধুলাসর এলাকার নূর মোহাম্মদ এর ছেলে আহসান হাবিব তালুকদার (৪৫) কে। স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার পতনের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত আহসান হাবিব নারায়ণগজের ইসপাহানি বন্দর এলাকায় থাকতেন এরপর গা-ঢাকা দেন।
বন্দর এলাকায় ঘুরে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহসান হাবিব নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায় এবং হাসিনার দোসর হিসেবে কাজ করে।
এর আগে হাবিবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা এবং চাঁদা না পেলে মারধরের অভিযোগও পাওয়া যায়। নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে জমির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি নিয়ে জাল-জালিয়াতি করে কাগজ বানিয়ে মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখায় বিল সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে আপত্তি জমা দেয়। তিনি মানুষকে হয়রানিসহ শামীম ওসমানের প্রভাব খাটিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাত এবং বর্তমানে বিএনপির নাম ব্যবহার করে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
এব্যপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আছে এবং হাসিনা সরকারের সময় প্রভাব দেখিয়ে আমাদের অনেক হয়রানি করেছে। সরকার পতনের পরও সে থেমে নেই, এখন বিএনপি’র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দাপিয়ে বেরাচ্ছে এবং তাকে প্রায়ই বিভিন্ন সময় আদালত চত্ত্বরে দেখা যায়। বিভিন্নভাবে মানুষকে হয়রানির জন্য মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, আমরা তার বিচার চাই।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে, ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, মো. রিয়াজ নিহতের ঘটনায় শামীম ওসমানসহ ১৯২ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।