জানা যায়, গত বছরগুলোতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা এবার ভুট্টা চাষে বেশি ঝুঁকছেন। চলতি মৌসুমে হাইব্রিড আলাক্সা, সিনজেনটা ৭৭২০,
এমকে ৪০, পাইউনিয়ার ৩৩৫৫, এমকে ৪০, পালোয়ান, সুপার শাইন, কাবেরী ৪৪ সহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। চাহিদার সঙ্গে বাজারমূল্য বেশি ও অধিক লাভ হওয়ায় এবার বোরো ধানের জমিতেও আগাম জাতের ভুট্টা চাষ হয়েছে।
উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার দেওয়ানজীকান্দি গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, গত বছর ভুট্টার দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর ৫বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি। ভুট্টা বিক্রি ছাড়াও ভুট্টার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া যেসব জমিতে এক সময় বোরো চাষ করা হতো, সেসব জমিতে কৃষকরা এখন ভুট্টা চাষ করছেন।
কৃষক হাবিব শিকদার ও খলিলুর রহমান জানান, আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শে জমিতে আগাম হাইব্রিড ভুট্টার আবাদ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। এখন ভুট্টা জমিন থেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। শুনেছি গতবছরের তুলনায় ভুট্টার দাম প্রতি মনে দুই থেকে তিনশ টাকা কম।
আদুরভিটি গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, ধানসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে উৎপাদন খরচ ও শ্রম কম লাগে এবং উৎপাদিত ভুট্টার দামও ভালো পাওয়ায় কৃষদের মাঝে ভুট্টা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলার ভুট্টার ব্যবসায়ী মনির হোসেন সজিব জানান, গতবছরের তুলনায় এবছর বোরখার দাম অনেক কম। এখন ভুট্টা বিক্রি তেমন শুরু হয় নাই। বর্তমানে ভুট্টার বাজার দর ১০৫০টাকা ১১০০টাকা। যা গতবছরের তুলনায় অনেক কম। দাম আরো কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, ভুট্টা থেকে গবাদি পশুসহ মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদন এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি লাভজনক। এজন্য কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। উপজেলার ২০০ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় এনে ২০০ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এজন্য ২০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে ডিএপি ২০কেজি এমওপি১০ কেজি সার ও বীজ কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।

মতলব উত্তরে আগাম ভুট্টা চাষ।