প্রকাশের সময় 23/01/2025
আলা উদ্দিনের কারনেই হয়েছিল আইন শৃংখলার অবনতি ময়মনসিংহ জেলার গোয়েন্দা সংস্থা ডিবিতে এসআই আলা উদ্দিন যোগদার করার পরই বেড়েছিল মাদক ব্যবসা ও মোটর সাইকেল চুরি। আর আলাউদ্দিনের সোর্স ছিল এজেলার কুখ্যাত মোটর সাইকেল চোর আর কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীরা। এ জেলায় যারা পুরাতন পুলিশ অফিসারগন আছেন তারা আমার সংগৃত তথ্যের চেয়ে আরো বেশী জানেন। নিত্যদিন মোটর সাইকেল চুরি আর প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসার ফলে পুলিশের তৎপরতাছিল অস্থির রকমের কিন্তু অজ্ঞাত কারনে অভিযান সফল হতোনা। ময়মনসিংহ ডিবি’তে এস আই আলা উদ্দিন তৃতীয় বারের মত যোগদান করেন ১৬ সেপ্টেম্বর।এস আই আলা উদ্দিনের সোর্সদের মধ্যে রয়েছে, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী কাজল, কুখ্যাত ফিটিং মামলাবাজ মাইগ্যা জাহাঙ্গীর, কুখ্যাত মোটর সাইকেল চোর তানভীর, ভূয়া পুলিশ পরিচয় দেয়া সাহেব কাচারীর খোকন, পুলিশ পরিচয় দেয়া মতি। এস আই আলা উদ্দিন বিভিন্ন অভিযানে সহযোগী পুলিশ নানিয়ে এসকল সোর্সদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাতেন আর টাকা স্যামারী করতেন। মোটর সাইকেল চুরির সিসি ফুটেজ আর মাদক ব্যবসার সময় এই চিহ্নীত সোর্সেরা গ্রেফতার হলেই জামিন পেয়ে করেন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। সাবেক ডিবি’র ওসি ফারুক হোসেন এস আই জলিল এর ভুক্তভোগী। ইতিপূর্বে এসআই আলা উদ্দিন ডিবি’তে কর্মরত থাকা সময়ে কতিথ পিলার চুরি অভিযোগে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানা এলাকা থেকে ২ জনকে আটক ১৫ লাখ টাকা রফা করে ১০ লাখ টাকা আদায় করেন। বাকি ৫ লাখ টাকার জন্য আটকদ্বয়কে তার সোর্সএর তত্বাবধানে ভালুকা ও ত্রিশালের সোর্স তানভীরের কাছে ৫ দিন আটক রাখেন। পরে জামালপুর ও ময়মননিংহের র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করলেও অপ্লের জন্য এস আই আলা উদ্দিন ধরা পরেনি। শ্রীবরদী থানায় ভালুকার আটক দুজনের নামে মামলা হয়। পুলিশী ইমেজ নষ্ট হওয়ার কারনে তিনি অদৃশ্য শক্তিতে রক্ষা পান। তৎসময়ে ডিবিতে অফিসার ইনচার্জ ছিলেন শাহ কামাল আকন্দ। এ কারনে তার বদলী হয়। এসআই আলা উদ্দিন বদলীকৃত স্থান থেকে ফের বদলী হয়ে আসেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায়। এখানে এসে তিনি কক্সবাজারের সাকিল নামের এক কলেজ ছাত্রকে আটক করেন। ৫ লাখ টাকার দাবীতে এসআই আলা উদ্দিন সাকিলকে তার সোর্স তানভীর ও কাজলের মাধ্যমে ট্রাংপট্রী হোটেল আল হেরায় আটক রাখেন। ৩ লাখ টাকা পেয়ে আরো ২ লাখ টাকার জন্য আটক রাখেন। এ সময় থ্রিপোল নাইনের ফোনে ১ নং পুলিশ ফাড়ির ইন চার্জ আনোয়ার হোসেন এস আই লুৎফর তাকে উদ্ধার করে তানভীরকে আটক করে থানায় জমা দেন। পরে সাকিলকে ইয়াবা মামলায় চালান করা হলেও তানভীন রহস্যজনক কারনে ছাড়া পেয়ে যান। এর পর এসআই আলা উদ্দিন কোতোয়ালী থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় গৌরীপর থানার শ্যামগজ্ঞ হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির নিকটে একটি ভারতীয় চিনির গাড়ি ডাকাতির চেস্টা করেন। হাইওয়ে পুলিশের হাতে তারা আটক হন। হাইওয়ের পুলিশ সুপার ও ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারে মধ্যস্থতায় সে তখন রক্ষা পায়। পরে আটকৃত চিনি নিয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা হয়। সম্প্রতি এসআই আলা উদ্দিনের গাজা বিক্রী করা বন্ধ করে দেয়ায় কাশেম আলী কলেজের মাঠ সংলগ্ন জনৈক ব্যক্তিকে একটি ফিটিং দস্যুতা মামলা দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এস আই আলা উদ্দিন যুবদল নেতা সৌরভের কাছে একটি মোটর সাইকেল উপহার চেয়েছিলেন। মোটর সাইকেল নাদেয়ায় ৫ আগষ্টের পর মোটর সাইকেল নিতে বলায় এস আই আলা উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে র্যাবের হাতে আটক সৌরভকে ডিবিতে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। পরে আলা উদ্দিনের বদলী হয়। তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরো বহু অভিযোগ, যা পর্যায় ক্রমে ধরে তুলা হবে। এস আই আলা উদ্দিনের বর্তমানে পোষ্টিং হয়েছে হাইওয়ে পুলিশে। তিনি সম্প্রতি যোগদান করেছেন।