গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর উপর্যুপরি বিমান হামলা ও নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে আজ ৭ এপ্রিল সোমবার সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়। উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জামাতের সভাপতি, সেক্রেটারি জেনারেল সহ অত্র এলাকার মুসলিম কমিউনিটির তৌহিদি জনতা।
“২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মানবতার দুশমন ইসরাইলি বাহিনীর পাশবিক হামলায় গাজায় প্রায় ৫০ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জনেরও অধিক নিরীহ ফিলিস্তিনি। নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। এদিকে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করার পর থেকেই ইসরাইল অব্যাহতভাবে গাজায় একের পর এক ছোট-খাটো হামলা চালিয়ে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে আসছে। গত ১৮ মার্চের হামলাটি ছিল যুদ্ধ বিরতির পর সবচাইতে বড় ধরনের হামলা। জালিম ইসরাইলি বাহিনীর এক দিনের এই বর্বর হামলায় নারী-শিশুসহ চার শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার ঘোষণা দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। এ হামলার মাধ্যমে ইসরাইলিদের যুদ্ধবাজ জঙ্গি মনোভাবই আবার অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হলো।
ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর উপর্যুপরি বিমান হামলা ও নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য সারাদেশে কেন্দ্রীয় শান্তিপূর্নভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সংগঠনের সকল শাখা এবং দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বানের মধ্য এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
তারই অংশ হিসাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে গ্রাম পাড়া মহল্লাতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে মিছিলে সামিল হয় হাজারো মানুষ। মিছিলে অংশ নেন এলাকার তরুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মুসলিম উম্মার তৌহিদি হাজারো জনতা।
এ সময় তারা গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ নিহতের ঘটনা এবং এর বিপরীতে জাতিসংঘ, ইউনিসেফ ও আরব দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনের নারী-শিশুসহ মুসলিমদের ওপর এমন বর্বরতার পরও যারা নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তারা ইসরাইলের এই হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন করছে বলে তারা মনে করে। আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১০টা থেকে কামারজানি বাজার মসজিদ গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন । এরপর দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে মিছিল শুরু করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অত্র এলাকার মুসলিম কমিউনিটি ‘তুমি কে আমি কে, প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোপ মিছিলে অংশ নেন ১২ নং কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমান, কামারজানি জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন সভাপতি, সেক্রেটারি সহ দলীয় কর্মীরা। এছাড়াও অত্র এলাকার সচেতন মুসলিম সমাজ এর পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন, মাজু আহম্মেদ, মমিন মিয়া, ৩নং ইউপি সদস্য ছদরুল কবির (আংগুর), প্রাত্তন সেনা সদস্য জহুরুল ইসলাম সহ অত্র এলাকার অনেকে উপস্থিত ছিল।