প্রকাশের সময় 08/09/2024
বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগের তুলনায় রংপুর পিছিয়ে সেই আদিযুগ থেকে। এখানে উৎপাদিত চাল, আলু ও রবি শষ্য দিয়ে দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটলেও এখানকার মানুষের চাওয়া ও পাওয়ার দিকে ভোটের পর সকল সরকারে ভুলে যান। আর সুন্দর সুন্দর বুলি আওরান। বিগত একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গে আওয়ামীলীগের ৫ সংসদ সদস্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পান। ৫ বছরে তারা উত্তরবঙ্গতো দুরের কথা নিজ আসনেও কোন পরিবর্তন করেননি। তবে নিজের পরিবারের পরিবর্ন করেছেন আকাশচুম্বি। চায়ের দোকানদার থেকে অনেকে হয়েছেন কোটি টাকার মালিক। বেকার নেতা বুনেগেঝেন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হিসেবে। আর কেউ প্রাইভেট টিউটর হয়ে কামিয়েছেন সাড়ে ৯শত কোটি টাকা।
এরপর দ্বাদশ জাতিয় সংসদে কমেছে উত্তরবঙ্গে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা সেই সাথে রাখা হয়নি রংপুরের জন্য উন্নয়নের জন্য কোন বরাদ্দ। এতে বোঝা যায় বৈষম্যের শিকার আমরা রংপুর তথা উত্তরবঙ্গের মানুষ। এর কারন হলো আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের দাবী আদায়ের জন্য কথা বলবেন কিংবা দাবী ও চাওয়াগুলো তুলে ধরার মানুষ নেই সেখানে।
৫ আগষ্ট গণঅভ্যুথানের পর বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিত্বসহ বৈষম্যবিরোধী মেধাবীরা উপদেষ্টা দ্বায়িত্বে রয়েছেন। এখানেও উত্তর বঙ্গের কাউকে উপদেষ্টা অথবা সহকারী উপদেষ্টা হিসেবে কাউকে রাখা হয়নি। মানে আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার কেউ নেই।
শৈরাচার বিদায় হওয়া সত্ত্বেও কি কুড়িগ্রাম, রংপুর তথা উত্তরবঙ্গবাসী বৈষম্যের শিকার হয়েই থাকবে? বৈষম্য দূরীকরণ ও প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারের পরিবর্তে দ্বায়িত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী মেধাবীরাও এই প্রতিহিংসায় লিপ্ত থাকবে?
উত্তরবরঙ্গের কুড়িগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা লাঘব, জীবন মান উন্নয়ন, সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রসার, রেল উন্নয়ন ও নদী ভাঙন রোধসহ জনগুরুত্বপুর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে আওয়াজ তোলা ও স্থানীয়ভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার একমাত্র সংগঠক ও মুখপাত্র নাহিদ হাসান নলেজ। মনে আছে কয়লা আন্দোলনের কথা। সে্ই আন্দোনের নেপথ্যেই ছিলেন এই সংগঠক। বর্তমানে যিনি রেলের রেয়াত ও ভাড়া বৃদ্ধি পূনর্বহাহেল দাবীতে সারা দেশের রেলস্টেশনে প্রতিবাদ কর্মসূচি করছেন।
পিছিয়ে পড়া কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গকে এগিয়ে নিতে লেখক, গবেষক, কলামিস্ট ও সংগঠক নাহিদ হাসান নলেজকে উপদেষ্টা অথবা সহকারী উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চাই।