প্রকাশের সময় 07/09/2024
সিদ্ধিরগঞ্জে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি বিক্রি করার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২৫ লাখ টাকা চঁাদা দাবি এবং কাউন্সিলর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে মারধর ও প্রান নাশের হুমকির ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক, নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ শাহজালাল বাদল ও তার চঁাচা নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর উদ্দিন মিয়া ও ভুমিদস্যু শাহজাহান সাজু গংদের বিরুদ্ধে মামলা করে এক বছরেও প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন শিমরাইল টেকপাড়া এলাকার ভুক্তভোগী মো: আশ্রাফ মিয়া। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সাবেক সংসদ সদস্য গডফাদার হিসেবে খ্যাত শামীম ওসমান ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড সন্ত্রাসী শাহ নিজামের প্রভাব খাটিয়ে নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের নয়াআটি মুক্তিনগর বটতলা এলাকাস্থ আশ্রাফ মিয়ার পৈত্রিক সূত্রে পাপ্ত পৌনে ১০ শতাংশ জমির উপরে নির্মিত একটি টিনসেড বাড়ি দখলে নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে বাড়ি ভাড়া আত্মসাৎ করার অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো, কাউন্সিলর নুর উদ্দিনের বড়ভাই নুরুল হক ওরফে নুরু মিয়া ও নুর সালামসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায় কাউন্সিলর বাদল-নুরুদ্দিনসহ তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা। তবে স্থানীয় বিএনপির কিছু অসাধু ব্যক্তির ছত্র-ছায়ায় এলাকায় বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাবেক সংসদ সদস্য গডফাদার হিসেবে খ্যাত শামীম ওসমান, তার শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড সন্ত্রাসী শাহ নিজামের নিয়ন্ত্রিত ভুমি সিন্ডিকেটের অর্থ বিনিয়োগকারী ভুমিদস্যু শাহজাহান সাজু। বাদল-নুরুদ্দিন এলাকায় না থাকলেও মোবাইল ফোনে হুমকি-ধমকিসহ তাদের পালিত সন্ত্রাসী দিয়ে আশ্রাফ মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে সাইনবোর্ড ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
মামলায় ভুক্তভোগী আশ্রাফ মিয়া উল্লেখ করেছেন, নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের নয়াআটি মুক্তিনগর বটতলা এলাকাস্থ তার পৈতিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে নিজ নামীয় সাইনবোর্ড লটকাইয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। গত বছরের ১১ নভেম্বর তার বসত বাড়ির মেরাত করার জন্য ইট, বালু, সিমেন্ট, রড, সুরকিসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে। এই খবর পেয়ে আসামীরা রূপগঞ্জ থানাধীন মাহনা এলাকায় বাদীর অফিসে গিয়ে তার স্বত্ব-দখলীয় সম্পত্তি খরিদ করার জন্য প্রস্তাব দেয়। তখন সে তাদের নিকট সম্পত্তি বিক্রি করতে অস্বীকার করলে তারা বাদীর নিকট ২৫ লাখ টাকা চঁাদা দাবি করে। এসময় বাদী তাদেরকে চঁাদা দিতে অস্বীকার করলে তারা তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
মামলায় তিনি আরো উল্লেখ করেন, ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত বছরের ১৮ নভেম্বর বাদী আশ্রাফ মিয়া শিমরাইলের টেকপাড়াস্থ তার নিজ বাড়িতে আসলে তারা খবর পেয়ে মামলার আসামী নুরুল হক ওরফে নুরু মিয়া ও নুর সালামের মাধ্যমে বাদীকে খবর দিয়ে কাউন্সিলর নুর উদ্দিনের অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় কাউন্সিলর বাদল ও নুরুদ্দিনের হুকুমে বাদীর নিকট তারা ২৫ লাখ টাকা চঁাদা দাবি করে। এতে সে অস্বীকার করলে নুরুল হক বাদীকে এলাপাথারী ভাবে মারধর শুরু করে। এসময় অপর আসামী শাহজাহান সাজু বাদীর পকেট থেকে নগদ ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং বাদল তার হাতে থাকা একটি অপ্পো ব্রান্ডের এনড্রয়েড সেট ছিনিয়ে নিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় ন্যায় বিচার প্রার্থণা করেছেন ভুক্তভোগী আশ্রাফ মিয়া।
এ বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ও কাউন্সিলর মো: নুর উদ্দিন মিয়ার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।